✅"𝑷𝒓𝒆𝒔𝒆𝒏𝒕 𝑻𝒆𝒄𝒉 𝑰𝑻" Was Created By 𝑴𝒂𝒉𝒂𝒎𝒖𝒅𝒖𝒍 𝑯𝒂𝒔𝒂𝒏 𝑱𝒊𝒉𝒂𝒅

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২২টি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল টিপস

সেরা ২৭টি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আপনি কি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চান? তাহলে, আপনাকে অবশ্যই এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হবে। আমরা আপনাদের জন্য, SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট লেখার নিয়ম নিয়ে এসেছি। এই নিয়মগুলো আপনার ওয়েবসাইট আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করলে আর্টিকেলগুলো প্রথম পেজে রেংক করবে আশা করছি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে, SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গভীরভাবে জানা যাক।
একজন ব্যক্তি বেঞ্চে বসে থেকে আর্টিকেল লিখছে। এবং অন্যদের ২২টি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম শেখাচ্ছে।

কীওয়ার্ড কে টার্গেট করা - এসইও SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট

একটি আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে প্রথমে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া আর্টিকেল কে রেঙ্ক করানো অনেক কঠিন। কারণ আপনি যখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন, তখন আপনি সেই কিওয়ার্ড সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। যেমনঃ সার্চ ভলিউম , সিপিসি রেট, কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ইত্যাদি। অতএব, আর্টিকেল লেখার পূর্বে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কে টার্গেট করা উচিত। এই ডিজিটাল যুগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুল রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ Ahrefs বা SEMrush বা Ubersuggest.

কনটেন্টের টাইপ ফাইন্ড আউট - এসইও SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট

আপনি যে কীওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন, সেটিকে প্রথমত গুগলে সার্চ করে দেখে নিন যে কোন ধরনের আর্টিকেল এক নাম্বারে রেঙ্ক করছে। তারপর, ছয় থেকে সাতটি আর্টিকেল দেখে নিয়ে সাব হেডিং রিসার্চ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন।

কিওয়ার্ডের ঘনত্ব কে ঠিক রাখা - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল কে এসইও SEO rank করানোর জন্য কি-ওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা । তাই অনেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে কি-ওয়ার্ড আর্টিকেলের মধ্যে দিয়ে দিই। আবার অনেকে তো কমা ব্যবহার করে পাশে পাশে অনেকগুলো কি-ওয়ার্ড একসাথে বসিয়ে দেয়। আসলে এরকম করা ঠিক না।

কারণ গুগল আপনার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে চেক করে, তারপর সেটিকে এক্সেপ্ট করে। কি-ওয়ার্ড খুব কম থাকলে Ranking কম হবে, আবার বেশি থাকলে Over Optimization সমস্যা হতে পারে। তাই, খুব কমও না আবার খুব বেশিও না মাঝামাঝি পর্যায়ে কি-ওয়ার্ড ঘনত্ব রাখা উচিত।

কি-ওয়ার্ডের ঘনত্ব ঠিক রেখে আপনাকে আর্টিকেলটি লিখতে হবে। আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কিওয়ার্ড আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করেন। তাহলে গুগল আপনাকে কিওয়ার্ড স্টাফিং ট্রাই ক্লেম করবে। তাই আর্টিকেলের মধ্যে কিওয়ার্ডের ঘনত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কি-ওয়ার্ড যেমন আর্টিকেলকে রেংক করাতে ভূমিকা পালন করে, সেরকমই আর্টিকেল কে ইনডেক্স না করার ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড শুধুমাত্র ১২ থেকে ১৫ বার ব্যবহার করা উচিত। এসইও SEO কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

আর্টিকেল কে সঠিক নিয়ম বিশ্লেষণ করা

কোনো টপিক এর ওপর আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে অবশ্যই সে আর্টিকেল টপিকের উপর বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনি এমন বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন যেটি গুগলে কম পরিমাণে আছে। অর্থাৎ একই বিষয়ের ওপরে এনাফ পরিমাণ আর্টিকেল গুগলে নাই এবং সেই আর্টিকেলের উপর সার্চ ভলিউম অত্যান্ত বেশি। এই ক্যাটাগরির আর্টিকেলকে টার্গেট করে এবং আর্টিকেলকে সঠিক নিয়মে বিশ্লেষণ করে তারপর ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে।

আর্টিকেলের টাইটেল নির্বাচন - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেলের মধ্যে টাইটেল ব্যবহার করা উচিত। টাইটেল আপনার আর্টিকেলকে মার্জিত পূর্ণ করে তোলে। টাইটেলের মাধ্যমে পাঠক আর্টিকেল সম্পর্কে ধারণা পায়। টাইটেলের মাধ্যমে আপনার ব্লগ পোষ্ট বা আর্টিকেলটি গুগলে রেঙ্ক করার চান্স থাকে। নিচে কিছু টাইটেল বসানোর নিয়ম দেওয়া হলঃ
  1. পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
  2. টাইটেল এর মধ্যে ১ থেকে ২ টি মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
  3. (?, ! বা | ছাড়া) টাইটেলে স্পেশাল ক্যারেক্টারের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
  4. শুধুমাত্র দুইটি ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝখানে হাইফেন ব্যবহার করতে হবে।

টাইটেল এবং মেটা টাইটেল ব্যবহার করা

এসইও SEO এর ক্ষেত্রে টাইটেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি আর্টিকেলের মধ্যে টাইটেল বা শিরোনাম যেন, ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হয় এবং আর্টিকেল টাইটেল বা শিরোনাম পড়েই যেন খুব সহজে বোঝা যায় পুরো আর্টিকেলে কি বিষয়বস্তু থাকছে।

প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জন পাঠকই শুধুমাত্র আর্টিকেল টাইটেল বা শিরনাম পড়েই পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে যায়। কারণ তাদের আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনাম পছন্দ হয় না। কি? কিভাবে? যেভাবে? কিংবা লিস্ট বেইজড শব্দ যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরণামে রাখলে পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আকৃষ্ট হয়।

মেটা টাইটেলঃ মেটা টাইটেল হলো যে টাইটেলের মাধ্যমে সার্চইঞ্জিন আপনার পোস্ট অনুসন্ধানকারীদের দেখায়। যদি আপনি এসইও সেটিংসে একটি মেটা টাইটেল স্পেসিফিক করে না দেন তাহলে আপনার পোস্ট টাইটেলই মেটা টাইটেল হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।

ভূমিকা লিখার নিয়ম

শুরুতেই আর্টিকেলের মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাইনের ভূমিকা লিখা উচিত। যাতে শুরুতেই পাঠক বুঝতে পারে, পুরো পোষ্টের মধ্যে কি কি বিষয় আলোচনা করা হবে। অনেক পাঠকই আছে যারা শুধুমাত্র ভুমিকা পড়ার পর আর আর্টিকেল পড়ে না।

সেক্ষেত্রে যদি ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরম্যাশন না থাকে, যে পুরো আর্টিকেলে কি কি বিষয় আলোচনা করা হবে। তাই একটি আর্টিকেলের জন্য ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  1. "কি কি বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এ সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে" এটি ভূমিকাতে থাকতে হবে।
  2. মেটা ডেসক্রিপশন এবং ভূমিকা দুটো আলাদা হবে।
  3. ভূমিকা লেখা শুরুর আগে কোন গ্যাপ থাকা যাবে না।
  4. ভূমিকার প্রথম অংশে দুই থেকে তিনবার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
  5. প্রথম লাইনের প্রথম বাক্যের মধ্যে একবার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
  6. প্রথম অংশের ভূমিকা তিন থেকে চার লাইনের মধ্যে হলে ভালো হয়।
  7. একটি লাইনের মধ্যে কমা ব্যবহার করে একসাথে দুই-তিনটি কিওয়ার্ড দেওয়া যাবে না।
  8. একই ধরনের ভূমিকা অর্থাৎ একই ধাঁছের লেখা লিখা যাবে না। প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা পোস্টে আলাদা আলাদা ভাবে লিখতে হবে।
  9. যদি একাধিক মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে তাহলে কম করে বসাতে হবে।
  10. পুরো পোষ্টের মধ্যে ১০ থেকে ১২ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
  11. কথার সাথে মিল রেখে পুরো পোষ্টের মধ্যে ১০ থেকে ১২ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
  12. ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো পুরো পোষ্টের মধ্যে সমান অনুপাতে বসাতে হবে।
  13. সকল ধরনের কিওয়ার্ড গুলোকে বোল্ড করতে হবে। অর্থাৎ মেইন এবং সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড দুইটাই।
  14. প্রথম পেরার ভূমিকা তিন থেকে চার লাইন লেখা হয়ে গেলে ফিচার ইমেজের নিচে বাদবাকি ভূমিকা গুলো লিখতে হবে।

পর্যায়ক্রমে প্যারাগ্রাফ শিরণাম, হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো লেখার নিয়ম

আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিটি প্যারাতে গড়ে যেন ৫ লাইন করে লিখা থাকে। যদি কোন প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় এবং পাঁচ লাইনের বেশি হয়ে যায়, তাহলে সেটি কয়েকটি প্যারাতে ভাগ করে করে লিখতে পারেন। একটি সাব-কিওয়ার্ড বা প্যারাগ্রাফ শিরণাম বা হেডিং এর মধ্যে যতগুলো প্যারাগ্রাফ লিখলে সেটি পরিপূর্ণ হবে ততগুলো লেখা উচিত।

প্যারাগ্রাফ হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লার্জেস্ট করতে হবে।
প্রত্যেকটা হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড এ “যে কিওয়ার্ড” আছে, সেটি কে সেই হেডিং এর আন্ডারে তিন থেকে চার বার রাখতে হবে।
  1. স্পেসিফিক কুয়েরির কিওয়ার্ড সাথে যুক্ত করে উত্তর।
  2. একটা প্যারার মধ্যে ১০-১৫ লাইন রাখা যাবে না। সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ লাইন রাখা যাবে।
  3. প্রত্যেকটি প্যারার পর দুটো এন্টার দিতে হবে।

H1, H2, H3, H4 হেডিংস ট্যাগের ব্যবহার - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সেকশনে নির্ধারিত হেডিং ব্যবহার করতে হবে। হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করলে গুগলের বোট বুঝতে পারে যে, কোন সেকশনের আন্ডারে কোন তথ্য গুলো আছে। তারপরে খুব সহজেই গুগল বোট সেই সেকশনকে চেক করতে পারে।

ডিফল্টভাবে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের থিম এর মধ্যে H1 টাইটেল হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করে। তারপর পর্যায়ক্রমে আর্টিকেলের মধ্যে হেডিং এর জন্য H2, সাব হেডিং এর জন্য H3, মাইনর হেডিং এর জন্য H4 ব্যবহার করা হয়। তার পাশাপাশি প্যারাগ্রাফের জন্য Normal Text ব্যবহার করা হয়।

আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য বা আর্টিকেল ওয়ার্ড সংখ্যা

যেহেতু একই বিষয়ের ওপর google এ অনেকগুলো আর্টিকেল আগে থেকেই আছে। সেহেতু, আপনাকে সবার চাইতে ইউনিক এবং এক্সক্লুসিভ আর্টিকেল লিখতে হবে। সবাই যে পরিমাণ দৈর্ঘ্যের অথবা ওয়ার্ড এর আর্টিকেল লিখেছে তার চাইতে আপনাকে অবশ্যই বেশি লিখতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগলে র‍্যাঙ্ক করতে পারবেন। সাধারণত একটি আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য বা আর্টিকেল ওয়ার্ড সংখ্যা সর্বনিম্ন ১৫০০ ওয়ার্ডের হওয়া উচিত।

মেটা ডেসক্রিপশন বা সার্চ ডেসক্রিপশন ব্যবহার

সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশনে সাধারণত পুরো আর্টিকেল সামারি লিখা হয়। আর এই সামারিটি হয় ১৫০ শব্দের মধ্যে, ১৫০ শব্দের বেশি সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন লেখা যায় না বা ঠিকও না। মেটা ডেসক্রিপশন এর মধ্যে ফোকাস কীওয়ার্ড সংযুক্ত করতে হবে এবং এমন কিছু বর্ণনা সৃষ্টি করতে হবে যেন সেটা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়।

পুরো আর্টিকেল এর সকল বিষয়বস্তু ছোট আকারে লেখাকেই আর্টিকেল সামারি বলে। সামারির মাধ্যমে google এ রেঙ্ক করা সহজ হয়। তাই প্রত্যেকটি আর্টিকেলে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি সামারি বা সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন লেখা উচিত।

পাঠকের জিজ্ঞাসা বা FAQs বা People Also Ask For সেকশন ব্যবহার

আপনি যেই টপিকের ওপর আর্টিকেল লিখছেন, সেই রিলেটেড কিছু সাধারন প্রশ্ন FAQs সেকশনের আন্ডারে রাখা উচিত। অর্থাৎ আর্টিকেলের মধ্যে পাঠকের জিজ্ঞাসা বা FAQs বা People Also Ask For সেকশন ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আপনার এসিও অত্যন্ত ভালো হবে।

আর্টিকেলে মেটা ট্যাগের ব্যবহার

এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই মেটা ট্যাগের ব্যবহার করতে হবে। মেটা ট্যাগের সাথে জড়িত বিষয়বস্তু হলো ভালো একটা শিরোনাম, আর্টিকেলের বর্ণনা তথ্যবহুল করা এবং ফুটার টেক্সটি ভালো করে লেখা। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনেক সময় সার্চ ইঞ্জিন পোস্ট কে রেঙ্ক করাতে এসব বিষয় নির্ধারণ করে।

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল ক্ষেত্রে সঠিক পার্মালিংক নির্বাচন

এসইও SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে পার্মালিংক (Permalink) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। পার্মালিংক (Permalink) হলো একটি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্টের পরিচয় বা লোকেশন ঠিকানা। যেটি আপনি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ব্রাউজ করে, আপনার কাঙ্খিত আর্টিকেলটি পেয়ে যাবেন। এসইও SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে পার্মালিংক (Permalink) এর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  1. পার্মালিংক (Permalink) এ ব্যবহৃত শব্দগুলো, ইংলিশ কি-ওয়ার্ডে ২ থেকে ৫ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।
  2. একের অধিক শব্দ পার্মালিংক (Permalink) কে থাকলে, সেই শব্দ গুলোর মাঝখানে অর্থাৎ প্রত্যেকটি শব্দ লেখার পর আন্ডারস্ক্রোর (_) চিহ্ন ব্যবহার না করে ড্যাশ (-) চিহ্ন ব্যবহার উচিত।
  3. কিছু বিশেষ ধরনের শব্দগুলো পার্মালিংক (Permalink) কে ব্যবহার করা উচিত নয় যেমনঃ (a, an, the, or, and, of) ইত্যাদি।
  4. আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখার সময় যেই ফোকাস কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লিখেছেন সেটিকেই পার্মালিংক (Permalink) হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
কিভাবে একটি পার্মালিংক (Permalink) লিখতে হয় সেটির উদাহরণ হিসেবে নিচে একটি ছবি দেওয়া হলঃ
আর্টিকেলে পার্মালিংক (Permalink) কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি এখানে দেখানো আছে। এবং, পার্মালিংক (Permalink) লেখার নিয়ম শেখানো হয়েছে।


আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে একটি পার্মালিংক (Permalink) লিখতে হয়।

পার্মালিঙ্কে স্টপওয়ার্ড না ব্যবহার করা

একটি আর্টিকেল পার্মালিঙ্ক (Permalink) এর মধ্যে (A, an, the or, and, of) এবং এরকম কিছু লিস্টেড শব্দ বা চিহ্ন সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করে না। আমরা আছি যারা অনেকেই এসব শব্দ ব্যবহার করি পোস্ট পার্মালিঙ্ক (Permalink) এর মধ্যে। কিন্তু এগুলো একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়। যেভাবে এই শব্দগুলো না ব্যবহার করে আপনার পোস্টের পার্মালিঙ্ক (Permalink) তৈরি করবেন সেটির কিছু নমুনা নিচে দেওয়া হলঃ

Write a blog post about the rules of writing friendly articles. এর জন্য আপনারা আর্টিকেল পার্মালিঙ্ক (Permalink) ব্যবহার করে থাকেন সাধারণতঃ
Domain.com/Write-a-blog-post-about-the-rules-of-writing-friendly-articles.html.


এখানে, a, the এবং of ওয়ার্ড গুলো হলো স্টপ ওয়ার্ডস। এই স্টকওয়ার্ড গুলো একবারেই ব্যবহার করা যাবে না। এই স্টকওয়ার্ড গুলো এডিট করে আমরা যেই পার্মালিঙ্ক (Permalink) টি বানাতে পারি সেটি হলঃ
SEO-friendly-article-writing-rules.html.

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে সতর্কতা হলো, আপনি যেই পার্মালিঙ্ক (Permalink) দিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। অর্থাৎ সেই আর্টিকেলটি একবার ওই ভুল পার্মালিঙ্ক (Permalink) ব্যবহার করে পাবলিশ হয়ে গেলে সেটা আর চেঞ্জ করা যাবে না। আপনি যদি সেই পার্মালিঙ্ক (Permalink) চেঞ্জ করেন তাহলে সেই আর্টিকেলটি কে আর গুগলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এবং আপনার এসইও (SEO) এর ক্ষেত্রে এটি খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই, পার্মালিঙ্ক (Permalink) যুক্ত করার আগে এবং নির্ধারণ করার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এই ভুল গুলো ভুলেও করা যাবে না, যাবে না।

অ্যাঙ্কর টেক্সট এবং ইন্টারলিঙ্ক এর ব্যবহার

আপনি যদি একটি আর্টিকেলের মধ্যে ওই রিলেটেড অন্যান্য আর্টিকেল কে ইন্টার্নাল লিংকিং করেন তখন গুগলের বোট আপনার অন্যান্য আর্টিকেল গুলো পুনরায় চেক করতে পারবে। এবং সেই আর্টিকেলগুলো রেঙ্কে আনতে সাহায্য করবে। আপনি যদি আপনার ব্লগ পোষ্টের মধ্যে ইন্টারনাল লিংকিং ব্যবহার করেন। তাহলে এটি বাউন্স রেট কমিয়ে দিবে এবং এটা আরো একটি এসইও ফ্যাক্টর।

যখন আপনি ইন্টারলিঙ্ক সংযুক্ত করতে যাবেন তখন অ্যাঙ্কর টেক্সট মেথডটি ফলো করুন। কিন্তু আপনি পোস্ট টাইটেলে যে পোস্ট এর লিংক যুক্ত করবেন, সেটির টাইটেলে অবশ্যই মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড সংযুক্ত করা উচিত।

রিলেটেড টপিক লিঙ্ক করা - SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট

আপনি যখন একটা আর্টিকেল লিখেন, তখন ওই রিলেটেড বিভিন্ন প্রকার আরো আর্টিকেল থাকে। হয়তোবা সেই রিলেটেড আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যেও আরো অনেকগুলো আছে। সে ক্ষেত্রে আর্টিকেল গুলোকে একে অপরের সাথে লিংক করায় দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

আপনি যদি একটি আর্টিকেলের সাথে আরেকটি আর্টিকেল লিংক করিয়ে দেন তাহলে পাঠক চাইলে সেই আর্টিকেল গুলোকে পড়তে পারবে। আরো পড়ুন সেকশনে সেই আর্টিকেলগুলোকে লিংক করতে পারেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে একটি আর্টিকেল এর মধ্যে সর্বোচ্চ তিন জায়গায় আরো পড়ুন সেকশন দেওয়া উচিত। তাহলে এটি আপনার ব্লগ পোস্টের এসইও (SEO) বজায় রাখবে।

নো-ফলো ট্যাগ এক্সটার্নাল লিংকে যুক্ত করা

ধরুন আপনি, এমন কোন আর্টিকেল লিখছেন যেটার সোর্স লিংক হিসেবে অন্য ওয়েবসাইটের পোস্ট লিংক দিতে হবে। যখন আপনি অন্য ওয়েবসাইটের কোন লিংক নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করবেন।

আর যদি আপনি নন ফাংশনাল লিংক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে তো আরো ভালো হয়। অন্য ওয়েবসাইটের লিংকে যদি আপনি নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করেন তাহলে, সেই লিংকটি আপনার ওয়েবসাইটে থাকা সত্বেও তার রেংকিং বাড়বে না।

এবং আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং ভালো হবে। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সোর্স লিংক হিসেবে নিজের ওয়েবসাইটের কোন একটা নির্দিষ্ট আর্টিকেলের লিংক দিতে। এবং নিজের ওয়েবসাইটের সোর্স লিংক ব্যবহার করার সময় অবশ্যই ডু-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করবেন।

সঠিক ফিচার ইমেজ ব্যবহার

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের ভেতরে নুন্যতম একটি প্রাসংগিক ফিচার ইমেজ দিতে হবে। একটি ফিচার ইমেজ কোন আর্টিকেলকে অনেক অর্থবোধক করে তুলতে সাহায্য করে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে পছন্দ করেন না। প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজও দেখতে চান। তাই আর্টিকেলের মধ্যে সঠিক ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা আবশ্যক। কিভাবে ফিচার ইমেজ এসইও SEO ফ্রেন্ডলি বানা তে হয় তা নিচে দেয়া হলোঃ
  1. আপনার ব্যবহৃত ফিচার ইমেজ .jpg ফরম্যাটে হতে হবে।
  2. তবে কিছু ক্ষেত্রে ফিচার ইমেজের মধ্যে .png ফরম্যাট ব্যবহার করা উত্তম।
  3. ফিচার টাইটেলের মধ্যে ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
  4. ফিচার ইমেজ এর সাইজ ১২৮০ X ৭২০ রাখতে পারলে ভাল হয়। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের স্পিডের কথা মাথায় রেখে, ফিচার ইমেজ এর সাইজ ৭০০ X ৩৯৪ বা ৯৬০ X ৫৪০ উচিত।

ফিচার ইমেজ বানানোর নিয়ম

  1. টাইটেল ও ফিচার ইমেজের টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে।
  2. ইমেজের সমান করে টেক্সট বসাতে হবে।
  3. ফিচার ইমেজে জলছাপ ব্যবহার করতে হবে।
  4. ফিচার ইমেজ মাঝখানে রাখতে হবে।
  5. ফিচার ইমেজে কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
  6. আসল আকার দিতে হবে।
  7. টাইটেল এবং ফিচার ইমেস এর টেক্সট ডিফারেন্ট করতে হবে।
  8. অন্য কেউ কপি করতে পারে এমন ইমেজে জলছাপ ব্যবহার করতে হবে।
  9. ক্যালেন্ডার পোস্ট বাদে, ফিচার ইমেজ এর মধ্যে কোন প্রকার সাল ব্যবহার করা যাবে না।
  10. ক্রিয়েটিভ কমন থেকে ইমেজ নিতে হবে।

আর্টিকেলের মধ্যে ইমেজ অলটারনেটিভ অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার

গুগল বা কোন সার্চ ইঞ্জিন কোন ধরনের ইমেজ বা ছবি কে পড়তে পারে না। তাই সার্চইঞ্জিন গুগলকে আপনার সংযুক্ত ছবি কি সম্পর্কিত সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সেই ছবির সাথে সঠিক বর্ণনা বা ফোকাস কিওয়ার্ড বা সংশ্লিষ্ট ছবির নাম ব্যবহার করতে হবে। তাই এই নাম যুক্ত করার সময়, আপনি আর্টিকেলের মধ্যে ম্যানুয়ালি HTML অল্টারনেট অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করবেন।

যেভাবে কমেন্ট সেকশন ফরম্যাট করবেন

এসইও SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সময় কমেন্ট সেকশনে যেন কোন স্পাম কমেন্ট না আসে সেজন্য কমেন্ট সেকশন অবশ্যই মডারেট ব্যবহার করবেন। আবার আপনি, কোন কমেন্টে রিপ্লাই করা সময় কমেন্ট এর মধ্যে যদি সেই আর্টিকেলের কিওয়ার্ড টি ব্যবহার করেন তাহলে এসইও (SEO) এর ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

লেখকের শেষ কথা

আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে ২২টি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। এবং আর্টিকেলে বর্ণিত নিয়মগুলো আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করেন, করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই রেংক করবে।

আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কোন কাজে এসে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে ২২টি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সংক্রান্ত একটি ভালো কমেন্ট করে যাবেন।

আর এরকম প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।২২টি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম ব্লগ পোস্টের মধ্যে যদি কোন বাংলা বানান অথবা গ্রামার ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা স্বরূপ দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ। [মাহামুদুল হাসান জিহাদ]

পোস্ট সূচিপত্রঃ২২টি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম - SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোষ্ট

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

𝑷𝒓𝒆𝒔𝒆𝒏𝒕 𝑻𝒆𝒄𝒉 𝑰𝑻 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url