২৮টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
২২টি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আজকে আমি আপনাদের, বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম শেখাবো। কিভাবে একটি বাংলা আর্টিকেল
লিখতে হয়। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছেন যারা, ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে প্রতি
মাসে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করছে। পার্ট টাইম জব হিসেবে এটি একটি ভালো
উদ্যোগ। আর এই আর্টিকেল লিখতে হলে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হবে।
তাই, আজকে আমি আপনাদের আর্টিকেল লেখার নিয়ম শেখাবো। আসা করছি সম্পূর্ণ
পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়েন
তাহলে আপনি আর্টিকেল লেখা শিখে যাবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে,
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
জানা যাক। আর অবশ্যই নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখবেন।
টাইটেল বা শিরোনাম লিখার নিয়ম
একটি আর্টিকেলের মধ্যে টাইটেল বা শিরোনাম যেন, ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে
হয় এবং আর্টিকেল টাইটেল বা শিরোনাম পড়েই যেন খুব সহজে বোঝা যায়
পুরো আর্টিকেলে কি বিষয়বস্তু থাকছে? প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জন পাঠকই
শুধুমাত্র আর্টিকেল টাইটেল বা শিরোনাম পড়েই পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে
যায়।
কারণ তাদের আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনাম পছন্দ হয় না। কি? কিভাবে?
যেভাবে? কিংবা লিস্ট বেইজড শব্দ যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি আর্টিকেলের
টাইটেল বা শিরোনাম রাখলে পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আকৃষ্ট হয়।
টাইটেল বা শিরোনাম লিখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
- টাইটেল এর মধ্যে ১টি বা ২ টি মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে। এর বেশি বসানো যাবে না।
- (?, ! বা | ছাড়া) টাইটেলে স্পেশাল ক্যারেক্টারের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
- শুধুমাত্র দুইটি ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝখানে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে।
ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার নিয়ম
ভূমিকা বাটন পাঠক কে অন্য আর্টিকেল পড়তে আকৃষ্ট করে।
ভূমিকা বাটনে যেহেতু রিলেটেড আর্টিকেলের লিংক দেওয়া থাকে, তাই পাঠককে
অন্য আর্টিকেলে যেতে এবং সেই আর্টিকেল টি পড়তে আকৃষ্ট করে। তাই, অবশ্যই
আর্টিকেলের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন দেওয়া উচিত।
ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- ভূমিকা বাটনে অন্য রিলেটেড আর্টিকেলের লিঙ্ক দিতে হবে।
- ভূমিকা বাটন ৫ থেকে ৬ শব্দের বেশি হওয়া যাবে না। পাঁচ থেকে ছয় শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
- ভূমিকা বাটন এবং আরো পড়ুন সেকশনে সকল জায়গায় একই ব্লগ পোস্টের বা আর্টিকেলের লিঙ্ক দেওয়া যাবে না।
প্রথম অংশে, ভূমিকা লিখার নিয়ম
শুরুতেই আর্টিকেলের মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাইনের ভূমিকা লিখা উচিত। যাতে
শুরুতেই পাঠক বুঝতে পারে যে, পুরো ব্লগ পোস্টের বা আর্টিকেলের মধ্যে কি কি বিষয় আলোচনা করা হবে। অনেক
পাঠকই আছে যারা শুধুমাত্র ভুমিকা পড়ার পর আর আর্টিকেল পড়ে না।
সেক্ষেত্রে যদি ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরম্যাশন না থাকে, যে পুরো আর্টিকেলে
কি কি বিষয় আলোচনা করা হবে। তাই একটি আর্টিকেলের জন্য
ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম অংশে
ভূমিকা লিখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- "কি কি বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এ সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে" এটি ভূমিকাতে থাকতে হবে।
- মেটা ডেসক্রিপশন এবং ভূমিকা দুটো আলাদা-আলাদা হবে।
- ভূমিকা লেখা শুরুর আগে কোনো গ্যাপ থাকা যাবে না।
- ভূমিকার প্রথম অংশে দুই থেকে তিনবার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
- প্রথম লাইনের প্রথম বাক্যের মধ্যে একবার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
- প্রথম অংশের ভূমিকা তিন থেকে চার লাইনের মধ্যে হলে ভালো হয়। তবে পাঁচ লাইন পর্যন্ত লিখা যাবে।
- একটি লাইনের মধ্যে কমা-কমা ব্যবহার করে একসাথে দুই-তিনটি কিওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, আর্টিকেল লেখার নিয়ম, কিভাবে আর্টিকেল লিখব। এইভাবে কমা-কমা ব্যবহার করে কিওয়ার্ড দেওয়া যাবে না।
- একই ধরনের ভূমিকা অর্থাৎ একই ধাঁছের লেখা লিখা যাবে না। প্রত্যেকটা আলাদা-আলাদা পোস্টে আলাদা-আলাদা ভাবে লিখতে হবে।
- যদি একাধিক মেন ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে তাহলে কম করে বসাতে হবে।
- পুরো পোষ্টের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
- কথার সাথে মিল রেখে পুরো পোষ্টের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
- ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো পুরো পোষ্টের মধ্যে সমান অনুপাতে বসাতে হবে।
- সকল ধরনের কিওয়ার্ড গুলোকে বোল্ড করতে হবে। অর্থাৎ মেইন এবং সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড দুইটা কেও।
- প্রথম অংশের বা প্যারার ভূমিকা তিন থেকে চার লাইন লেখা হয়ে গেলে ফিচার ইমেজের নিচে বাদবাকি ভূমিকা গুলো লিখতে হবে। তবে পাঁচ লাইন পর্যন্ত লিখা যাবে।
এখন ফিচার ইমেজ (feature image) দিতে হবে
প্রত্যেকটি আর্টিকেলের ভেতরে নুন্যতম ২টি প্রাসংগিক
ফিচার ইমেজ (feature image) দিতে হবে। ফিচার ইমেজ (feature image) কোনো আর্টিকেলকে অনেক অর্থবোধক করে তুলতে সাহায্য করে। পাঠকরা শুধু
লাইনের পর লাইন পড়তে পছন্দ করেন না। প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজও দেখতে চান। তাই
আর্টিকেলের মধ্যে ফিচার ইমেজ (feature image) ব্যবহার করা
আবশ্যক। ফিচার ইমেজ (feature image) বসানোর কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- টাইটেল ও ফিচার ইমেজের টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে। অর্থাৎ আলাদা-আলাদা হতে হবে।
- আর্টিকেলের মধ্যে ছবি বা ফিচার ইমেজ গুলো সেন্টার এলাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
- ট্রেনিং ভিডিওতে যে ধরনের ছবি বা ফিচার ইমেজ বানাতে বলা হয়েছিল, ওই ধরনের ফিচার ইমেজ বানিয়ে প্রথম অংশের ভূমিকার নিচে বসাতে হবে।
এখন ২য় অংশ বা ভূমিকার বাকি অংশ লিখতে হবে
ফিচার ইমেজের নিচে, ২য় অংশ বা ভূমিকার বাকি অংশ দিতে হবে। প্রথম প্যারার ভূমিকা তিন
থেকে চার লাইন লেখা হয়ে যাওয়ার পর বাদবাকি যে অবশিষ্ট ভূমিকা থাকবে সেটি
ফিচার ইমেজের নিচে লিখতে হবে।
পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম
কোনো আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্র দেখে বোঝা যায় যে, সে আর্টিকেলে কি কি বিষয়
বস্তু লিখা আছে। পুরো আর্টিকেলের মধ্যে যে বিষয়বস্তুটি আপনার প্রয়োজন সেটি
আপনি পেজ সূচিপত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই খুজে পাবেন। পেজ সূচিপত্রে বর্ণিত উক্ত বিষয়বস্তুর ওপর ক্লিক করলে আপনি সরাসরি সেই বিষয়বস্তুর ওপর
চলে যাবেন। এবং সেটি পড়তে পারবেন। পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- সকল ধরনের হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড পেজ সূচিপত্রের আন্ডারে থাকবে।
- পেজ সূচিপত্রের প্রত্যেকটি হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড কে নাম্বার লিস্টিং করতে হবে।
- নাম্বার লিস্টের পরে কি-বোর্ড থেকে ট্যাপ চাপ দিলে সেই নাম্বার লিস্টের মধ্যে তার প্রকারভেদ অনুযায়ী লিস্টিং শুরু হবে।
- নতুন নাম্বার লিস্ট শুরু করতে চাইলে কি-বোর্ড থেকে শিফট প্লাস ট্যাব চাপ দিলে নতুন লিস্টিং শুরু হবে।
- পেজ সূচিপত্রে ক্লাস ইউজ করতে হবে।
পর্যায়ক্রমে প্যারাগ্রাফ শিরোনাম, হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো লেখার নিয়ম
আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিটি প্যারাতে গড়ে যেন ৫ লাইন করে লিখা থাকে। যদি কোনো প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় এবং পাঁচ লাইনের বেশি হয়ে যায়,
তাহলে সেটি কয়েকটি প্যারাতে ভাগ করে-করে লিখতে পারেন। একটি
হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-কিওয়ার্ড বা প্যারাগ্রাফ শিরোনামের মধ্যে যতগুলো প্যারাগ্রাফ লিখলে সেটি পরিপূর্ণ হবে ততগুলো লেখা উচিত। হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লিখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- প্যারাগ্রাফ হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড লার্জেস্ট করতে হবে।
- প্রত্যেকটা হেডিং বা সাব-হেডিং বা সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড এ “যে কিওয়ার্ড” আছে, সেটি কে সেই হেডিং বা সাব-হেডিং এর আন্ডারে তিন থেকে চার বার রাখতে হবে।
- হেডিং বা সাব-হেডিং গুলোতে কিওয়ার্ড বসানোর সময় স্পেসিফিক কুয়েরির কিওয়ার্ড সাথে যুক্ত করে উত্তর দিতে হবে।
- একটা প্যারার মধ্যে ১০-১৫ লাইন রাখা যাবে না। সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ লাইন রাখা যাবে।
- প্রত্যেকটি প্যারা ৪ থেকে ৫ লাইনের লিখে, তারপর নতুন প্যারা শুরু করার সময় কি-বোর্ড থেকে দুটি এন্টার দিয়ে নতুন প্যারা শুরু করতে হবে।
আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করার নিয়ম
আপনি যে বিষয়বস্তুর ওপর আর্টিকেল লিখেছেন, সেই বিষয়বস্তুর সাথে মিল আছে এমন
কোনো আর্টিকেলের লিংক যুক্ত করতে পারেন “আরো পড়ুন” সেকশনে। যাতে পাঠক
অন্য ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পড়তে পারে। এবং উপকৃত হতে পারে।
আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- আরো পড়ুন সেকশন দুই প্যারাগ্রাফের মাঝখানে দিতে হবে।
- আরো পড়ুন সেকশন নিচের দিকে দিতে হবে।
- পুরো পোষ্টের মধ্যে আরো পড়ুন সেকশন ৩ জায়গায় দিতে হবে।
- আরো পড়ুন সেকশনে রিলেটেড ব্লগ পোস্টের বা আর্টিকেলের এবং পোস্টের লিঙ্ক দিতে হবে।
FAQs অর্থাৎ কিছু সাধারন প্রশ্ন লেখার নিয়ম
কিছু ছোট ছোট তথ্য যেগুলো সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে কভার করা হয় না। কিন্তু
একজন পাঠকের মনে এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। এবং এরকম প্রশ্নের উত্তর তারা খুঁজে
পেতে চায়। সেক্ষেত্রে FAQs অর্থাৎ সাধারণ প্রশ্ন লেখা উচিত এবং এটি আবশ্যক। নিচে
কিছু FAQs অর্থাৎ কিছু সাধারন প্রশ্ন লেখার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- যে টপিকের ওপর আর্টিকেল লিখছেন সে টপিক অনুযায়ী কিছু সাধারন প্রশ্ন দিতে হবে (FAQs) সেকশনে।
- যে প্রশ্ন গুলো মানুষের প্রয়োজন হতে পারে এবং মানুষ জিজ্ঞেস করে থাকে সেগুলো দিতে হবে (FAQs) সেকশনে। ।
- প্রথমে “প্রশ্নঃ” লিখে, এটিকে বোল্ড করে প্রশ্ন টি লিখতে হবে।
- তারপর একটা এন্টার দিয়ে “উত্তরঃ” লিখে এটিকে বোল্ড করে উত্তরটি লিখতে হবে।
- FAQs সেকশনে সর্বনিম্ন পাঁচটি প্রশ্ন লিখতে হবে এবং সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।
লেখকের শেষ কথা বা কনক্লুউশন লিখার নিয়ম
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লেখার পর, যে বিষয়বস্তুর ওপর আপনি আর্টিকেল লিখেছেন
সেটির উপর আপনার কিছু মতামত দিতে হবে।
পুরো ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখা শেষ হয়ে গেলে আপনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে ৪/৫ লাইনের
কনক্লুউশন বা লেখকের শেষ কথা লিখা উচিত। যাতে করে পোস্টের বিভিন্ন অংশ
সম্পর্কে পাঠকরা আপনার বা লেখকের মতামত পায়। নিচে কিছু কনক্লিউশন বা লেখকের শেষ কথা লেখার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- একটি আর্টিকেলের মধ্যে লেখক এর শেষ কথা সর্বোচ্চ ২০০ ওয়ার্ডের লেখা যাবে।
- লেখক এর শেষ কথা লিখার সময় একটি প্যারার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ লাইন রাখা যাবে। ৪ লাইন লেখার পর আবার নতুন করে আরেকটি প্যারা শুরু করতে দুইটি এন্টার চাপতে হবে।
একটি আদর্শ আর্টিকেল দেখতে কেমন হয়, তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
পার্মালিঙ্ক যুক্ত করার নিয়ম
পার্মালিঙ্ক (Permalink) হলো একটি আর্টিকেলের সম্পূর্ণ সোর্স লিংক।
পার্মালিঙ্ক (Permalink) এর মাধ্যমে একজন পাঠক আর্টিকেলটি খুব সহজেই
খুঁজে পাই। এবং ওয়েবসাইট ভেদে তাদের নিজস্ব পার্মালিঙ্ক (Permalink) ব্যবহার করা উচিত। নিচে কিছু পারমালিংক যুক্ত করার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- পার্মালিংক (Permalink) এ ব্যবহৃত শব্দগুলো, ইংলিশ কি-ওয়ার্ডে ২ থেকে ৫ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।
- একের অধিক শব্দ পার্মালিংক (Permalink) এ থাকলে, সেই শব্দ গুলোর মাঝখানে অর্থাৎ প্রত্যেকটি শব্দ লেখার পর আন্ডারস্ক্রোর (_) চিহ্ন ব্যবহার না করে ড্যাশ (-) বা হাইফেন চিহ্ন ব্যবহার উচিত। প্রত্যেকটা শব্দের পরে হাইফেন ব্যবহার করতে হবে।
- কিছু বিশেষ ধরনের শব্দগুলো পার্মালিংক (Permalink) এ ব্যবহার করা উচিত নয় যেমনঃ (a, an, the, or, and, of) ইত্যাদি।
- আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখার সময় যেই ফোকাস কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লিখেছেন সেটিকেই পার্মালিংক (Permalink) হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
- মোবাইলে লেখার সময় পার্মালিঙ্ক কিভাবে সংযুক্ত করব। মোবাইলের ক্ষেত্রে ওপরের ডান পাশের কর্নারে সেটিংস অপশনে গিয়ে নিচে ক্রল করলেই পার্মালিংক (Permalink) যুক্ত করুন সেকশন খুঁজে পাওয়া যাবে।
পার্মালিঙ্কে স্টপওয়ার্ড না ব্যবহার করা
একটি আর্টিকেল লিংক এর মধ্যে (A, an, the or, and, of) এবং এরকম কিছু লিস্টেড
শব্দ বা চিহ্ন সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করে না। অনেকেই আছি, যারা এসকল শব্দ
ব্যবহার করি পোস্ট লিংক এর মধ্যে। কিন্তু এগুলো একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়।
যেভাবে এই শব্দগুলো না ব্যবহার করে আপনার পোস্টের
পার্মালিংক (Permalink) তৈরি করবেন সেটির কিছু নমুনা নিচে দেওয়া হলোঃ
Write a blog post about the rules of writing seo friendly articles. এর জন্য
আপনারা আর্টিকেল পার্মালিংক (Permalink) ব্যবহার করে থাকেন সাধারণতঃ
Domain.com/Write-a-blog-post-about-the-rules-of-writing-seo-friendly-articles.html
এখানে, a, the এবং of ওয়ার্ড গুলো হলো স্টপওয়ার্ডস। এই
স্টপওয়ার্ডস গুলো একবারেই ব্যবহার করা যাবে না। এই স্টপওয়ার্ডস গুলো এডিট করে আমরা যেই পার্মালিংক (Permalink) টি
বানাতে পারি সেটি হলোঃ
SEO-friendly-article-writing-rules.html
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে সতর্কতা হলো, আপনি যেই পার্মালিংক (Permalink) দিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। অর্থাৎ সেই আর্টিকেলটি একবার ওই
ভুল পার্মালিংক (Permalink) ব্যবহার করে পাবলিশ হয়ে গেলে
সেটা আর চেঞ্জ করা যাবে না। আপনি যদি সেই পার্মালিংক (Permalink) চেঞ্জ করেন তাহলে সেই আর্টিকেলটি কে আর গুগলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এবং আপনার SEO এর ক্ষেত্রে এটি খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই, পার্মালিংক (Permalink) যুক্ত করার আগে এবং নির্ধারণ করার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এই ভুল গুলো
ভুলেও করা যাবে না।
মেটা ডেসক্রিপশন বা সার্চ ডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম
সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশনে সাধারণত পুরো
আর্টিকেল সামারি লিখা হয়। আর এই সামারিটি হয় ১৫০ শব্দের মধ্যে, ১৫০
শব্দের বেশি সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন লেখা যায়
না বা ঠিকও না।
পুরো আর্টিকেলের সকল বিষয়বস্তু ছোট আকারে লেখাকেই
আর্টিকেল সামারি বলে। সামারির মাধ্যমে google এ রেংক করা সহজ হয়।
তাই প্রত্যেকটি আর্টিকেলে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি সামারি বা
সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন লেখা উচিত।
- ডান পাশে সেটিংস অপশনের ওইখানে সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জায়গা আছে।
- মোবাইলের ক্ষেত্রে সেটিং অপশন এর উপর ক্লিক করে নিচের দিকে স্ক্রল করলেই সার্চ ডেসক্রিপশন বা মেটা ডেসক্রিপশন পাওয়া যাবে।
পোস্ট ফরম্যাটিং এবং বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন
আপনি যখন পুরো পোস্টটিকে জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখবেন তখন পুরো
পোষ্টটি বইয়ের লেখার মতন দেখতে হবে। বইয়ের লেখার মতন পুরো আর্টিকেলটি দেখতে
হলে, পাঠকের অনেক পছন্দ হবে। এবং পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হবে। তাই
পোস্ট ফরমেটিং করা অত্যন্ত জরুরী। নিচে কিছু পোষ্ট ফরম্যাটিং এর
নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- সম্পূর্ণ পোস্টকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে রাখতে হবে।
- পুরো আর্টিকেল জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
- আর্টিকেলের মধ্যের ছবি বা ফিচার ইমেজ গুলো সেন্টার এলাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
বক্তার বক্তব্য উপস্থাপনঃ
- বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য লেফট ইন্ডেন্ট, রাইট ইন্ডেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
- অথবা বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে হলে "বক্তার বক্তব্য" কে কোর্টের মধ্যে রাখতে হবে।
নো ফলো, ডু ফলো ব্যবহার করার নিয়ম
নিজের ওয়েবসাইট অর্থাৎ যে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখছেন ওই ওয়েবসাইটের
কোনো পোষ্টের লিংক যদি আর্টিকেলের মধ্যে দিতে হয় তাহলে
ডু-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। সে ক্ষেত্রে ভুলেও
নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা যাবে না।
ধরুন যদি আপনি, যে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখছেন সেই ওয়েবসাইটের কোনো পোস্টের লিংক আর্টিকেলের মধ্যে দিতে হচ্ছে না, এবং অন্য কোনো আলাদা ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হচ্ছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
ভুলেও ডু-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এটা মানা বাধ্যতামূলক। তার পরিবর্তে যদি নন ফাংশনাল লিংক দিতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়। নিচে কিছু নো ফলো, ডু ফলো ব্যবহার করার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- এক্সটার্নাল লিঙ্ক নো-ফলো। অর্থাৎ যদি অন্য ওয়েবসাইটের লিংক বা অন্য ওয়েবসাইটের কোনো পোষ্টের লিংক নিজের আর্টিকেলের মধ্যে দিতে হয় তাহলে নো-ফলো ব্যবহার করতে হবে।
- ইন্টার্নাল লিঙ্ক ডু-ফলো। অর্থাৎ যদি নিজের ওয়েবসাইটের কোনো লিংক নিজের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মধ্যে দিতে হয় তাহলে ডু-ফলো ব্যবহার করতে হবে।
- অন্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়ার সময়, নন ফাংশনাল লিংক দিতে হবে। এবং নো-ফলো ট্যাগ এর চাইতে এটি দেওয়া অত্যন্ত ভালো।
আর্টিকেলে অ্যাট্রাক্টিভ ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা
ধরুন আপনি এমন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন, যে বিষয়ে পাঠক কোনো “পরীক্ষার সময়সূচি”
অথবা কোনো প্রকার “ডকুমেন্ট” প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে
ডাউনলোড লিংক যুক্ত করতে পারেন। তারপর সেই
ডাউনলোড লিংকটি ব্যবহার করে পাঠক সেই নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট ডাউনলোড করে
নিতে পারবে খুব সহজে।
- প্রথমে যেকোনো ডাউনলোড টেক্সট বা লেখা সিলেক্ট করে ওপরের লিংক এড করুন বাটনে ক্লিক করে লিংক এড করে দিলেই ডাউনলোড বাটনটি হয়ে যাবে।
ফোকাস কিওয়ার্ড কি?
ফোকাস কিওয়ার্ড হলো একটি আর্টিকেল এর প্রাণ। কারণ আর্টিকেল এসইও করার
ক্ষেত্রে ফোকাস কীওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরো
আর্টিকেলের মধ্যে যদি আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট করেন। তাহলে
আপনার আর্টিকেলটি গুগল সার্চ রেঙ্কে প্রথমের দিকে দেখাবে। এবং আর্টিকেলে প্রচুর
পরিমাণে ভিজিটর আসবে।
তাই পুরো আর্টিকেলের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট
করা উচিত। ফোকাস কিওয়ার্ড যদি একের অধিক হয় অর্থাৎ দুইটি
ফোকাস কিওয়ার্ড হলে আপনি একইভাবে পুরো আর্টিকেলের মধ্যে ৬ বার করে ১২
বার দিতে পারেন।
ফোকাস কিওয়ার্ড হলো একটি আর্টিকেল এর প্রাণ।
ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোনো আর্টিকেল গুগল সার্চ রেঙ্কে প্রথমের দিকে
দেখাবে না। এখন আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন আসতে পারে ফোকাস কিওয়ার্ড কি
জিনিস, এটা আবার কি বা কাকে বলে? আচ্ছা চলুন তাহলে ফোকাস কিওয়ার্ড কি
এটা জানা যাক।
ধরুন, কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় সেই নিয়ম আপনি জানেন না তাহলে তা
কিভাবে জানবেন? নিশ্চয় আপনি গুগল সার্চ বারে গিয়ে সার্চ করবেন তাই না?
তো... গুগলে কি লিখে সার্চ দেবেন বলুন তাহলে দেখি! নিশ্চয় আপনি "আর্টিকেল লেখার নিয়ম" বা "বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম" এভাবে লিখে সার্চ দেবেন তাই না?
আচ্ছা আপনি “আর্টিকেল লেখার নিয়ম” লিখে সার্চ দিলেন গুগলে,
হ্যাঁ...তাহলে বুঝতে পেরেছেন “আর্টিকেল লেখার নিয়ম” এটাই হলো
ফোকাস কিওয়ার্ড।
এখন তাহলে বলা যায়, আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সেই ব্যাপারে জানার জন্য যা
লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে সেটি হলো ফোকাস কিওয়ার্ড। একটি বিষয়ে ওপর
তথ্য গ্রহণের জন্য মানুষ অনেকগুলো ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করে।
যেমন ধরুন, "আর্টিকেল লিখার নিয়ম ২০২৪", "আর্টিকেল লেখার নিয়ম",
"কিভাবে আর্টিকেল লেখা যায়", "বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম" এবং
কিভাবে আর্টিকেল লিখলে google এ রেঙ্ক করে ইত্যাদি।
মানে উপরোক্ত সমস্ত কিওয়ার্ড গুলিকে টার্গেট করে পোস্ট লেখা হলে আপনার
আর্টিকেলটি সবার প্রথমে দেখাবে। এবং অনেক ভিজিটর পাবেন। মোট কথা হলো উক্ত সমস্ত
কিওয়ার্ড একটি পোস্টের মধ্যে সুন্দর ভাবে রয়েছে।
একটি পোস্টে ১টি ফোকাস কিওয়ার্ড অন্তত ১০/১২ বার পোস্টের বিভিন্ন অংশে
রাখা উচিত। আর একাধিক ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত কোন পোস্টের মধ্যে প্রতিটি
ফোকাস কিওয়ার্ড একাধিকবার রাখতে হবে।
ফোকাস কিওয়ার্ড যেন পোস্টের টাইটেল, ফিচার ইমেজ, অন্যান্য ইমেজ,
পোস্টের প্রথম প্যারা, অন্যান্য প্যারাগ্রাফ শিরনাম ও প্যারার মধ্যে অবশ্যই
থাকে। এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন। উপরের এই সকল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে
বলা যায়, ফোকাস কিওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের জন্য।
লাইন গ্যাপ এবং এন্টার দেওয়ার নিয়ম
অনেকেই আছেন যারা, দুই প্যারাগ্রাফের মধ্যে অনেকগুলো এন্টার বা
লাইন গ্যাপ দিয়ে থাকেন। এবং দুইটি ওয়ার্ডের মধ্যে একের অধিক
স্পেস দিয়ে থাকেন। এগুলো করা যাবে না। শুদ্ধ
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম হলো সর্বোচ্চ দুইটি ওয়ার্ডের মাঝখানে
একটা গ্যাপ এবং প্যারাগ্রাফের মধ্যে ১ লাইন গ্যাপ ব্যবহার করা।
বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
নিচে কিছু লাইন গ্যাপ এবং এন্টার দেওয়ার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- দুইটি প্যারার মাঝখানে দুইটি এন্টার ব্যবহার করতে পারেন।
- কিন্তু লাইন গ্যাপ দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করা যাবে না। পোষ্টের মধ্যে অতিরিক্ত স্পেস বা এন্টার দেওয়া যাবে না।
- একটা শব্দের পর অন্য শব্দের মাঝে যে অতিরিক্ত দুই থেকে তিনটা স্পেস আছে সেটা রিমুভ করতে হবে।
- কিন্তু দাড়ি কমা দেওয়ার পরের স্পেস রিমুভ করা যাবে না। দাড়ি বা কমার পর এবং দুটি শব্দের মাঝখানে একটি স্পেস দেওয়া যাবে।
- একেবারে পোষ্টের শেষে, এন্টার অথবা স্পেস থাকা যাবে না।
আর্টিকেলে "আপনি, আমি" শব্দের ব্যবহার
পুরো আর্টিকেলে আপনি যদি “আপনি, আমি” শব্দ ব্যবহার করে আর্টিকেলটি
উপস্থাপন করেন আপনার পাঠকের কাছে। তাহলে পাঠক মনে করবে আপনি তার সাথে গল্প
করছেন। এবং পাঠক খুব আনন্দর সহিত পুরো আর্টিকেলটি পড়বে। তাই পুরো পোষ্টের
মধ্যে “আপনি, আমি” শব্দগুলো ব্যবহার করা উচিত।
আর্টিকেলের বডি
একটি পার্ফেক্ট আর্টিকেলের মধ্যে নুন্যতম ৭টি সাব-কিওয়ার্ড বা প্যারাগ্রাফ
শিরোনাম বা হেডিং রাখা উচিত। আর একটি আর্টিকেলের মধ্যে নুন্যতম ১৫টি প্যারা
রাখা উচিত। একটি আর্টিকেলের মধ্যে সব মিলিয়ে সর্বনিম্ন ২২০০ বা তার বেশি শব্দ
ব্যবহার করা উচিত।
কোনো কিছুর বৈশিষ্ট বা সুবিধা অসুবিধা লিখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফের মত
লাইনের পর লাইন না লিখে, নাম্বার লিস্ট বা বুলেট লিস্ট আকারে লিখা উচিত। একটি
আর্টিকেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাসংগিক অন্য আর্টিকেলের লিংক রাখা উচিত,
যাতে করে পাঠকরা সে ব্যাপারে আরো অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানতে পারে।
পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল
পাঠকরা সব সময় সাজানো গোছানো এবং তথ্যবহুল আর্টিকেল পছন্দ করে। যেই
ইনফরমেশনের জন্য সে আর্টিকেলটিতে এসেছে সেই ইনফরমেশনটি যদি পাঠক পুরোপুরি
পায় তাহলে পাঠকের আর্টিকেলটি পছন্দ হবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে
ঘুরিয়ে পেচিয়ে কোন কিছু বলা যাবে না।
তাহলে পাঠকের আর্টিকেলটি পছন্দ হবে না। পাঠক এক্স্যাক্ট যে তথ্যটি পেতে চাই সেই
তথ্যটি দিতে হবে। অন্যান্য ওয়েবসাইটের চাইতে অনেক ভালো পরিমাণে তথ্য দিতে
হবে তাহলে পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল হবে।
যেহেতু গুগলে একই টপিকের ওপর অনেকগুলো আর্টিকেল আগে থেকেই থাকে তাই আপনাদের
উচিত সেই আর্টিকেলগুলো থেকে ধারণা নিয়ে তাদের চাইতে ভালো আর্টিকেল লিখা এবং
তাদের চাইতে কোয়ালিটি ফুল আর্টিকেল লেখা। তাহলেই, পাঠকের দৃষ্টিতে অন্যান্য
ওয়েবসাইটের চাইতে আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি সেরা মনে হবে।
ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা
অনেকেই আছেন যারা মূল ড্যাশবোর্ডে বা ওয়েবসাইটে পোস্ট না লিখে বিভিন্ন জায়গায় লিখে রাখে,
এরপর ওয়েবসাইটে কপি পেস্ট করেন। যেমন কেউ মোবাইলের নোটপ্যাডে লিখে রাখেন,
কেউ আবার কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখেন। পরবর্তীতে সেটা কপি করে
ওয়েবসাইটে গিয়ে পেস্ট করে পাবলিশ করে দেন।
এভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত প্রোগ্রামে পোস্ট লিখে সেভ করে রেখে, পরবর্তীতে
কপি করার সময় সেখানকার প্রিফরম্যাটও কপি হয়ে যায়। যারফলে, ওয়েবসাইটে লিখা
পেস্ট করার পর অনেক সময় ফন্ট চেঞ্জ ও ছোটবড় জনিত বিভিন্ন ফরম্যাটিং সমস্যা
দেখা দেয় অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ফরমেটিং এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর ফরমেটিং একই
হয় না। যার ফলে আর্টিকেলটি দেখতে খারাপ দেখায়।
তাই আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে
ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও পোস্ট লিখে সেভ করে রাখবেন না। এরপরও যদি
আপনারা অন্য কোথাও লিখে রেখে সেভ করে পরে ওয়েবসাইটে এসে পেস্ট করার টেকনিক টি
জানতে চান। তাহলে এই বাটনে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ভিডিওটি পরে আসবে।
আর্টিকেল লেখার সময় তথ্য কোথায় পাবো
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আর্টিকেল লেখার নিয়ম তো জানলাম।
কিন্তু যেই টপিকের ওপর আর্টিকেল লিখব সেটির উপর যদি আমার ধারণা না থাকে। তাহলে
কোথায় থেকে ধারণা নিয়ে লিখব বা আর্টিকেল কিভাবে লিখব?
যেহেতু গুগলে একই টপিকের ওপর অনেকগুলো আর্টিকেল আগে থেকেই থাকে তাই আপনাদের
উচিত সেই আর্টিকেলগুলো থেকে ধারণা নিয়ে তাদের চাইতে ভালো আর্টিকেল লিখা এবং
তাদের চাইতে কোয়ালিটি ফুল আর্টিকেল লেখা। চলুন তাহলে সে ব্যাপারে বলা যাক।
- কয়েকটা সাইট থেকে তথ্য নিয়ে, বেটার পোস্ট লিখতে হবে। বেস্ট পোস্ট লিখতে হবে।
- আর্টিকেল লেখার সময় ❌কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) ভুলেও ব্যবহার করা যাবে না। ভুলেও ব্যবহার করা যাবে না। ❌কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence) যেমন চ্যাট জিপিটি (Chat GPT) ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রয়োজনে ইউটিউব থেকে ধারণা নিতে হবে। ধারণা নিয়ে নিজে লিখতে হবে।
- অন্য একটি সাইটের পোস্ট কপি করে এনে কিছুটা এদিক ওদিক করে লেখা যাবে না।
- অন্য ওয়েবসাইটের প্যাটার্ন কপি করা যাবে না।
- সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে নিজের মতো ভাব অনুবাদ করে লিখতে হবে।
- মেশিন ট্রান্সলেট বা গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করা যাবে না।
- গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে ইংরেজি পোস্ট বাংলাতে রূপান্তর করে লেখা যাবে না। বা বাংলা পোস্ট ইংরেজিতে রূপান্তর করে লেখা যাবে না।
- মৌলিক তথ্য এক্সচেঞ্জ করে লেখা। মৌলিক তথ্যটা ঠিক রেখে নিজের মতো করে লেখা। নিমপাতা।
নতুন আর্টিকেলের ইমেইল নোটিফিকেশন
প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেই নতুন আর্টিকেল প্রকাশের পর ইমেইল নোটিফিকেশন সেন্ড করার
ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে পাঠকরা নতুন পোস্টের এলার্ট সহজেই পেয়ে যায় তাদের
ইমেইল এড্রেস। আমাদের ওয়েবসাইটের এই ব্যবস্থাটি আছে।
আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন আর্টিকেলের অপেক্ষায় থাকেন পড়ার জন্য
তারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে, তারপর ইমেইল ঠিকানা প্রদান করার অংশে
গিয়ে ইমেইল ঠিকানা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন। এরপর নতুন কোনো আর্টিকেল
বা ব্লগ পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হলেই নোটিফিকেশন এলার্ট পেয়ে
যাবেন আপনার ইমেইল এড্রেসে।
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম
আপনি যদি বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব বা ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং করতে
চান তাহলে প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম অবশ্যই জানতেই হবে।
স্ক্রিনশট ইমেজে কোনো অতিরিক্ত অংশ যেন না থাকে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে
হবে, যাতে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হয়।
স্ক্রিনশট বা ফিচার ইমেজে
অপ্রয়োজনীয় অংশ থাকলে তা Crop করে ফেলতে হবে।
স্ক্রিনশট ইমেজের কোন অংশে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন তা লাল
কালি বা বিভিন্ন ধরনের কালি দিয়ে মার্ক করে দেখানো উচিত। তাহলে খুব সহজেই
পাঠক বিষয়বস্তুটি বুঝতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে নিচের স্ক্রিনশট টি দেখুন।
ওপরের স্ক্রিনশট এর মধ্যে লাল কালার করে মার্ক করে দেওয়া অংশটুকু দেখুন, এখন যেই অংশটুকু দেখতে পাচ্ছেন এটাই হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় অংশ।
এখন আবার, উপরের স্ক্রিনশটটি এবং নিচের স্ক্রিনশটটি ভালোমত দেখলে বুঝতে পারবেন উপরের
স্ক্রিনশটটি এতোটুকুও প্রফেশনাল মনে হচ্ছে না। কারণ ওপরের স্ক্রিনশটে
সম্পূর্ণ ছবি দেওয়া হয়েছে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া হয়নি বা Crop করা হয়নি।
তাই উপরের স্ক্রিনশটটি মোটেও প্রফেশনাল লাগছে না। ওপরের স্ক্রিনশট এর
অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়ার পর বা Crop করার পর স্ক্রিনশটটি কেমন লাগছে নিচের ছবিতে দেখুন।
এখন যে স্ক্রিনশট টি দেখতে পাচ্ছেন এটিই হলো
প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার উত্তম একটি উদাহরণ।
কন্টেন্ট লেখার নিয়ম অনুযায়ী ছবির স্টাইল এবং সাইজ সবসময় অর্জিন্যাল
হতে হবে।
ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা যাবে না
ব্লগে আর্টিকেল রাইটিং করার সময় অনেকেই অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে
তারপর কাস্টমাইজ করে এবং নতুন করে ছবি বানিয়ে আর্টিকেলের মধ্যে আপলোড করে
থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা ছবি ডাউনলোড করার ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার
জন্য, সরাসরি ছবির সোর্স লিংক থেকে লিংক কপি করে এনে আর্টিকেলের মধ্যে
ব্যবহার করে থাকেন।
ওপরে ছবিতে দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী লিংক সোর্স ব্যবহার করে ছবি এড করা একদমই উচিত নয়। কারণ সেই সোর্স ওয়েবসাইট এর মালিক যদি সেই
ছবিটি ডিলেট করে দেয় অর্থাৎ মূল সোর্স থেকে যদি সেই ছবিটি ডিলিট হয়ে যায়
তাহলে আপনার পোস্টের মধ্যে থেকেও সেটি হারিয়ে যাবে।
এবং মূল ওয়েবসাইট থেকে ছবিটি সরানোর কারণে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে সেই
ছবিটি আর দেখতে পাবেন না। তাই আর্টিকেলের মধ্যে
ইমেজ সোর্স লিংক যুক্ত করা একদমই ঠিক না। আশা করছি আপনি এখন বুঝতে
পেরেছেন ইমেজ সোর্স লিংক যুক্ত করা নিয়ম সম্পর্কে।
কোনো আর্টিকেলের মধ্যে ইমেজ বা ছবি বা ফিচার ইমেজ এড করার সময় নিচের বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ Upload from computer ব্যবহার করতে হবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইমেজ কিভাবে এড করবেন।
ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স ইমেজ
আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম নিয়ম হলো কপিরাইট মুক্ত ছবি
আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করা। কপিরাইট যুক্ত ছবি আর্টিকেলের মধ্যে
দেওয়া যাবে না। আর আপনি যদি কপিরাইট মুক্ত ছবি আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার
করতে চান।
তাহলে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স ফিল্টার থেকে ইমেজ
ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স থেকে ইমেজ
ডাউনলোড করবেন সেটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স থেকে ইমেজ ডাউনলোড করবেন।
ফিচার ইমেজ বানানোর নিয়ম
প্রত্যেকটি আর্টিকেলের ভেতরে নুন্যতম ২টি প্রাসংগিক ফিচার ইমেজ (feature image) দিতে হবে। ফিচার ইমেজ (feature image) কোনো আর্টিকেলকে অনেক অর্থবোধক করে তুলতে সাহায্য করে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে পছন্দ করেন না। প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজও দেখতে চান। তাই আর্টিকেলের মধ্যে ফিচার ইমেজ (feature image) ব্যবহার করা আবশ্যক। ফিচার ইমেজ (feature image) বানানোর কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- টাইটেল ও ফিচার ইমেজের টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে। অর্থাৎ দুইটি আলাদা-আলাদা হবে
- ইমেজের সমান করে টেক্সট বসাতে হবে।
- ফিচার ইমেজে জলছাপ ব্যবহার করতে হবে।
- ফিচার ইমেজ মাঝখানে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেন্টার অ্যালাইনমেন্টে রাখতে হবে
- ফিচার ইমেজে কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
- আসল আকার দিতে হবে। অর্থাৎ অরিজিনাল সাইজে দিতে হবে
- টাইটেল এবং ফিচার ইমেজের টেক্সট ডিফারেন্ট করতে হবে।
- অন্য কেউ কপি করতে পারে এমন ইমেজে জলছাপ ব্যবহার করতে হবে।
- ক্যালেন্ডার পোস্ট বাদে, ফিচার ইমেজের মধ্যে কোনো প্রকার সাল ব্যবহার করা যাবে না।
- ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স থেকে ইমেজ নিতে হবে।
আশা করি আপনারা সকলেই সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ। [মাহামুদুল হাসান জিহাদ]
পোস্ট সূচিপত্রঃ
𝑷𝒓𝒆𝒔𝒆𝒏𝒕 𝑻𝒆𝒄𝒉 𝑰𝑻 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url